খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষার্থী (১৪) সংঘবদ্ধ ভাবে গনধর্ষনের অভিযোগের মামলায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। আটককৃত হলেন, সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের আরমান হোসেন, মো. সাকিব আলম, এনায়েত হোসেন, সাদ্দাম হোসেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সোহেল ইসলাম - মুনির ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এদিকে স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে স্কুল শিক্ষার্থী পূরো ঘটনাটি জানায়। ওই শিক্ষার্থী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় অংশ নেওয়ার পর রাতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই শিক্ষার্থী। সেখানেই গভীর রাতে ৬ যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তার আত্মীয়কে বেঁধে রেখে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন জানায়, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছু প্রকাশ করেনি। কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ১২ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জ্ঞান ফিরলে ঘটনাটি মেয়ে তার পরিবারকে সব কিছু জানায়। খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, আব্দুল বাতেন জানান,মামলা গ্রহণের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুত পুলিশ এজাহারভুক্ত৪ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।পলাতাক অন্যান্য আসামিদের আটক করার জন্য অভিযান চলছে।