মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা কৃষক দলের (সাবেক ) সদস্য সচিব তুহিন মুন্সির বিরুদ্ধে স্ত্রী সন্তানকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তুহিন মুন্সির স্ত্রী কাজল রেখা (৩৬) অভিযোগ করেন, তুহিন মুন্সি নেশা করে, নিয়মিত মদ খায়, অন্যের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে, এবং ঘরের মধ্যে বহিরাগত মহিলা নিয়ে এসে মদ ও মেয়েদের আসর বসায়, এর প্রতিবাদ করলেই আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করলেও তারা প্রভাবশালী হওয়ায় সকলেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। শালিখা থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত তুহিন মুন্সির দুলাভাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় বিভিন্ন মহলে ফোন করে ভুক্তভোগী কে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তুহিন মুন্সি ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের সাথে রাজনৈতিক দল করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কাজল রেখা ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানার ভালাইপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের মেয়ে।

তবে এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম নয়নের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, এবং কে বা কারা তার নাম ব্যবহার করে সুবিধা নিতে চাচ্ছে এ বিষয়েও তিনি অবগত নন। 
তিনি আরো জানান, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে শাস্তির আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

কাজল রেখা ও তুহিন মুন্সি দম্পতির আট বছরের শিশুসন্তানকেও রেহাই দেয়নি বেধরক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে শিশু সন্তানটিকে, শুধু তাই নয় তুহিন মুন্সির শাশুড়ি এবং শ্যালিকার গায়েও হাত তোলা হয়েছে। 
অভিযুক্ত তুহিন মুন্সি শালিখা উপজেলার শহর আলী মুন্সির ছেলে।

শালিখা থানায় গত ২৩ মার্চ ২৫ তারিখের দায়েরকৃত অভিযোগে তুহিন মুন্সিসহ তার কথিত প্রেমিকা নিপা মুন্সি, স্বামী হারন, ও প্রেমিকার মেয়ে মাহি, পিতা, হারুন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয়রা প্রভাবশালী হওয়ায় তাতে সুফল পাননি অভিযোগকারী ব্যক্তি।

এর আগে জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে মারধরের শিকার হয়ে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী স্ত্রী কাজল রেখা। 
পরবর্তীতে ১৯ জুলাই আবারো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে মারপিটের শিকার হয় কাজল রেখা সহ তার শিশু সন্তান মা-বোন। সকলে আহত হয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।