নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষ্ণপুর ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় বেরিবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে স্থানীয় পুকুর, ফসলি জমি ও বসতবাড়ির আঙিনা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কয়লাবাড়ি গ্রামে বন্যাকবলিত ২৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ইমরান হোসেন ও বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং কসব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মস্টার প্রমূখ।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, লবণ, শুকনো খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
এর আগে ইউএনও আখতার জাহান সাথী ১০ নম্বর নুরুল্যাবাদ ও ১৩ নম্বর কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকার ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন,“তালপাতিলা এলাকার বেরিবাঁধ ভেঙে পড়েছে। এতে কয়েকটি পুকুর ও ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরির কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জিওব্যাগ ও বালুর বস্তা মজুদ রয়েছে।”
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন,“বাঁধ ভেঙে আমার পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। তিন বিঘা জমির ধান পানির নিচে চলে গেছে। এখন আর কিছুই বাঁচাতে পারলাম না।”
স্থানীয় গৃহবধূ রহিমা খাতুন জানান,“উঠানে পানি উঠে গেছে। রান্না করতে কষ্ট হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।”
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যায়ক্রমে সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।