ঝালকাঠিতে দূর্ণীতির অভিযোগ তুলে অপসারণ চেয়ে এ্যাডহক কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করা হয়েছে। সোমবার সকাল এগারটায় জেলার রাজাপুর সদরের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি সায়েম আকনের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,জুলাই আন্দোলনে দেশের রজনীতির পালা বদলের পর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সায়েম আকন বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। অথচ সায়েম আকন আওয়ামীলীগ আমলে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের সাথে দালালী করতেন ও ফ্যাসিস্টের সহযোগী ছিলেন। যা ইতিমধ্যেই রাজাপুরবাসী জেনে গেছেন। সায়েম সভাপতি নিযুক্ত হবার পর বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দূর্ণীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। স্কুল মাঠে বালি ফেলার জন্য দুইলাখ টাকা বরাদ্দ আসলে মাত্র ৭০,০০০/ (সত্তর হাজার) টাকার বালি ফেলে বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন । এছাড়া গত মে মাসে স্কুলের রাস্তার জন্য ১২০,০০/ (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা) বরাদ্দ আসলে রাস্তায় তিনি কোন কাজ না করেই পুরো টাকাটাই গায়েব করেন। তাছাড়া গত চারদিন আগে বিদ্যালয়ের গাছের চারটি কাঠাল পেরে তিনি বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি ছাত্রদের মধ্যে জানাজানি হলে সভাপতি নিজের দোষ ঢাকতে স্থানীয় ছাত্রদল কর্মীরা কাঠাল চুরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ দেন । বক্তারা আরও বলেন, কতটা নিচু মনের হলে বিদ্যলয়ের গাছের কাঠাল সভাপতি নিজে নিয়েও ছাত্রদল কর্মীদের দোষারোপ করেন। সায়েম আকন বিদ্যালেয়র সভাপতি হওয়ার অযোগ্য বলে ইতিমধ্যেই বিবেচিত হয়েছেন। আমরা এই দূর্ণীতিবাজ,আওয়ামীলীগের দালাল সায়েম আকনের অপসারণ চাই ।সায়েম আকনকে অতিসত্তর অপসারণ না করা হলে পরবর্তীতে আরও কঠিন আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে উপজেলা যুবদল নেতা এম এ সবুর জানান, জুলাই বিপ্লবের পর এই সায়েম আকন উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাভশালী নেত্রী রিয়াকে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও রিয়ার সাথে বেশ কয়েকটি অন্তরঙ্গ ছবি, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে তোলা ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এত বছর আওয়ামীলীগের দালালী করেও কোন অদৃশ্য শক্তির বলে বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে এই অযোগ্য সভাপতির অপসারণ দাবি করছি।সায়েম আকন সাংবাদিক ও দলীয় পরিচয়ের দাপটে এই অপকর্ম গুলো করে যাচ্ছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে তাই দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য দল থেকে আওয়ামী দোসর চাঁদাবাজ কে বহিস্কার করা উচিত।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাবুল বিশ্বাস, লিটু তালুকদার, ও ছত্রদল নেতা গোলাম আযমসহ আরও অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সায়েম আকন বলেন,আমার দলের একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তারাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে।