ভোলা জেলা মনপুরা উপজেলার ৫ নং কলাতলী ইউনিয়নে বিজিএফ চাউলের কার্ড দেয়ার কথা বলে অসহায় নারীদের কে একাদিক বার ধর্ষন করেন রহিম মাঝি কল রেকর্ডিং ফাঁস হয়েছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে আঃ রব মাঝির উপর হামলা ও তার স্ত্রীকে অপহরন এর অভিযোগ উঠেছে রহিম মাঝি ওরপে রহিম শিয়াল এর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রহিম মাঝির কাছে ধর্ষিতা নারী ফাতেমার মোবাইল আঃ রব এর বাসায় চার্জ দিলে তার মোবাইলে ছবি দেখতে গিয়ে আঃ রব এর মেয়ে কল রেকর্ডিং গুলো দেখতে পায়। এর পর লোক জানাজানি হলে আঃ রব কে রহিম মাঝি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মারধর করে এবং রাতের আধারে আঃ রব এর সহ ধর্মীনী জোছনাকে মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায় রহিম মাঝির লোক। এই বিষয়ে আঃরব এর সহ ধর্মীনী জোছনা বেগম বাদী হয়ে ১। মোঃ রহিম মাঝি (৫০), পিতা-মৃত শাহেআলম মাঝি , ২। মোঃ সুমন (৩০), পিতা-মোঃ সবুজ মাঝি (২৫),৩। ইমন পিতা-নোমান, ৪। মোঃ শাকিল (২২), পিতা-মোঃ অজিদ, ৫। মোঃ ইমরান
(৩০),মোঃ রহিম মাঝি, সর্ব সাং-চরকলাতলী ৭নং ওয়ার্ড, এর বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় একটি অভিযোগ করে।
(৩০),মোঃ রহিম মাঝি, সর্ব সাং-চরকলাতলী ৭নং ওয়ার্ড, এর বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় একটি অভিযোগ করে।
জোছনা বেগম বলেন, আমার স্বামী মোঃ আঃ রব,কলাতলী ৭ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা । রহিম মাঝি আমার পাড়াপ্রতিবেশী হয়। রহিম মাঝি খুব খারাপ প্রকৃতির লোক এবং বিভিন্ন মহিলাদের কে বিজিএফ চাউলের কার্ড দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে পরক্রিয়া করা রহিম মাঝি'র নেশা ও পেশা।
রহিম মাঝি আমাদের এলাকার ফাতেমা ও মনি নামের মহিলার সাথে অনেক বার অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছে। ফাতেমা'র মোবাইল আমার ঘরে চার্জে দেওয়ায় আমার মেয়ে তার মোবাইল খুলে টিপাটিপি করার একপর্যায়ে ফাতেমার সাথে রহিম মাঝির পরক্রিয়ার কিছু কল রেকর্ডিং থেকে যায়।
মোবাইলে মো: রহিম মাঝি'র পরক্রিয়ার কথা রেকর্ড থাকতে দেখতে পেয়ে আমাদের শুনায়। রহিম মাঝি লোক মারফতে রেকর্ড এর কথা জানতে পেরে আমাদেরকে দোষ দেয়। আমি এবং আমার স্বামী রহিম মাঝিকে রেকর্ডের বিষয়ে কিছু জানি না বলিলে রহিম মাঝি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুজিতে থাকে এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ইং-১৫/০৬/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.১০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আঃরব গোলের খালের দোকানে গিয়ে আমাদের গরুর জন্য খাবার নিতে গেলে রহিম মাঝির নিদের্শে আমার স্বামী আঃ রব কে একা পেয়ে তার সাথে অযথা গালমন্দ করে। এর পর তার সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। হাতাহাতির একপর্যায়ে রহিম মাঝির সাথে থাকা শাকিলের একটি স্মার্ট ফোন রাস্তার পাশে পরে যায়। তখন খোঁজাখুজির একপর্যায়ে না পেয়ে আমার স্বামীকে গালমন্দ করিতে থাকে । আমার স্বামী আঃ রব পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনকে জানিয়ে চলে আসে। বাড়ীতে আসার পরে শাকিল, রহিম মাঝির কাছে বিচার দিলে রহিম মাঝির নির্দেশে এলাকায় একটি শালিস ডাকে রহিম মাঝির পক্ষে থাকা শাকিলের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি আমার স্বামী আঃ রবকে কিনে দিতে হবে বলে দাবি করে রহিম মাঝি। আমার স্বামী তাদের কথামত রাজি না হলে আমাদের বড় ধরনে ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজিতে থাকে। পূর্বের জের ধরিয়া ঘটনার দিন ইং-৩০/০৬/২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আঃরব চরকলাতলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ ঘোলের খাল দোকানে গেলে রহিম মাঝির হুকুমে ১। মোঃ সুমন (৩০), পিতা-মোঃ সবুজ মাঝি (২৫),২। ইমন পিতা-নোমান, ৩। মোঃ শাকিল (২২), পিতা-মোঃ অজিদ, ৪। মোঃ ইমরান (৩০),মোঃ রহিম মাঝি, আমার স্বামী আঃ রব এর সাথে অযথা গালমন্দ শুরু করে। আমার স্বামী আঃ রব তাদেরকে গালমন্দ করিতে নিষেধ করিলে সকলে মিলে তাকে এলোপাতাড়ী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। তখন আমার স্বামী আঃ রব এর ডাক-চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন আসিলে সন্ত্রাসী রা তাদের সামনে আমার স্বামী আঃ রব কে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমার স্বামী উপস্থিত লোকজনকে বিষয়টি জানাইয়া বাড়ীতে চলে আসে বাড়ীতে আসার পর আমরা সকলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। রাতে ঘুম থেকে উঠে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘটনার দিন রাতে ০১/০৭/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ১:৩০ ঘটিকায় আমি ঘটনাস্থল মনপুরা থানাধীন চরকলাতলী ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডস্থ ঘোলের খাল এলাকায় আমার বসত ঘরের সামনে উঠান দিয়ে টয়লেটে যাওয়ার সময় রহিম মাঝির নির্দেশে আমাকে পিছন থেকে ইমন, এবং সুমন দুইজন এসে আমাকে হাত এবং মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায় এর পর আমি দস্তা দস্তি করলে মাটির ভিতর পেলে দিয়ে আমার বুকের উপর পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে আমার পড়নের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে। এর পর আমার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন আসিলে ইমন এবং সুমন দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তিনি আরো বলেন, রহিম মাঝির নির্দেশে ইমন এবং সুমন আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে আমার বাড়ী হইতে রাস্তার দিকে দিয়ে তারা দুজনে আমাকে হাত পা ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাদের সাথে দস্তাদস্তি করে কোন রকম
আমার বাড়ীর পাশে থাকা পুকুরে পাড়ে যাই এর পর পুকুরের এক কোনে আমি চুপ করে শুয়ে থাকি ইমন এবং সুমন কিছুক্ষণ আমাকে খোজাখুজি করে দেখতে না পেয়ে চলে গেলে আমি ডাকচিৎকার করিলে আমার স্বামী এবং লোকজন আসে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি স্থানীয় মান্নগন্য ব্যক্তিদের জানাইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বলেন।
রহিম মাঝির কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে একাধিক কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
মনপুরা থানার এ এস আই জাফর ইকবাল জানান। রহিম মাঝির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কল রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে মারামারির একটা অভিযোগ আসে। আমরা তদন্ত করে অভিযোগ টি নন-জিআর করে কোর্ট এ পেশ করি।