শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘জয় বাংলা ঘাটলা’ এখন পরিণত হয়েছে ধানের খড়কুটোর গাদায়। এক সময় এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য নির্মিত এই ঘাট ও গোসলখানা বর্তমানে অযত্ন, অবহেলা আর অব্যবস্থাপনার চরম নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২২ সালে সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামিমের উদ্যোগে মাস্টার ঘাটে নির্মিত হয় আধুনিক সিঁড়ি এবং নারীদের জন্য আলাদা গোসলখানা। ‘জয় বাংলা ঘাটলা’ নামে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়দের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত গোসল ও নদী ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা ছিল।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, গোসলখানার দরজায় তালা ঝুলছে, সিঁড়ির গায়ে জমেছে কচুরিপানা ও কাদা। গোসলখানায় পানি নেই, দেয়ালে জমেছে শ্যাওলা। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, গোসলখানার ভিতরে রাখা হয়েছে ধানের খড়কুটো।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “গোসল করার জন্য বানানো হলেও এখন এটি যেন ধান শুকানোর খোলা জায়গা। বছরের বেশিরভাগ সময়ই এভাবে পড়ে থাকে। শুধু বর্ষাকালে কেউ কেউ ঘাটে আসে।”
নারীরা জানান, আলাদা গোসলখানা থাকলেও এখন তা ব্যবহার করা যায় না। “দরজায় তালা, ভিতরে ময়লা। কেউ দেখাশোনা করে না,” বলেন এক গৃহবধূ।
সচেতন মহলের অভিযোগ, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তার রক্ষণাবেক্ষণে কোনো নজর দেওয়া হয় না বলেই এমন পরিণতি।
তাদের দাবি, কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ধরনের অবকাঠামো যেন জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।