গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নে সমসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরোধপূর্ন জমি নিয়ে আদালতের তদন্ত কমিশন গঠন করায় তড়িঘড়ি করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নে সমসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরোধপূর্ন জমি নিয়ে আদালতের তদন্ত কমিশন গঠন করায় তড়িঘড়ি করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১ জুন) বিকালে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী বজলুর রহমান সরকারের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে রাহাত সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে রাহাত সরকার জানান, তার পিতা জমি দাতা ফজলুর রহমান সরকার ১৯৯৫ সালের ২২ জুলাই মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। তিনি ২৬৯৭ দাগে (হাল দাগ ৩৩৩৩) ১ একর ৫ শতক জমির মধ্যে ২৬ শতাংশ ও অপর দাগে ৮৪ শতক ডাঙ্গার ভিতরে ৩৭ শতক একুনে ৭ শতাংশ জমি দান করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ওই মৌজায় ২৬৯৭ দাগে ১ একর ৫ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত হবে বলে দলিলে কথাটি উল্লেখ রয়েছে। 

দীর্ঘ ৩০ বছরেও উক্ত জমিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ভবন নির্মাণ করেনি। তাই জমি দাতা হিসাবে ফজলুর রহমান সরকার দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ভেগদখল করে আসছে৷ দলিলে আরও উল্লেখ রয়েছে যদি বিদ্যালয়টি ওই জমিতে প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে মূল মালিক বিনা বাধায় জমিটি ভোগ করতে থাকবে। 

এদিকে জমি দাতাকে না জানিয়ে গোপনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৭ শতাংশ জমির জায়গায় ৩৩ শতাংশ জমির বিআরএস রেকর্ড করে। পরে দাতাকে ওই জমি ভোগ করতে বাধা দেয়। তখন ফজলুর রহমান সরকার বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন৷ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলে তারা সেটিকে অস্বীকার করে। তখন আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট বের হয়। পরে তারা এপিআর হয়ে কোন জবাব দাখিল করেন না। তখন আদালত থেকে আবার নির্দেশনা দিলে তারা বাধ্য হয়ে মিথ্যা তথ্য জবাব দাখিল করে। তারা আদালতে বলেন জমি দাতা অন্যত্র কোন জমি দান করেনি। তিনি ৮৪ শতক ডাঙ্গার ভিতরে ৩৭ শতক একুনে ৩৩ শতক জমি দান করেছেন। তাই তারা ৩৩ শতাংশ জমি বিআরএস রেকর্ড করেছেন বলে আদালতে উল্লেখ করেন৷ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে জানায় উক্ত ৩৩ শতক জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তখন বিজ্ঞ আদালত তদন্ত কমিশন প্রদান করলে তারা ওই জমিতে বিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করে।

অপরদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাবে। কিছুদিন পরপর পুলিশ নানাভাবে তাদের পরিবারকে হয়রানি করছে। অথচ বিরোধপূর্ণ জমিটির রেকর্ড সংশোধন মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় তারা দেশবাসীর নিকট তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের ন্যায্য বিচার চান৷