নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ মাঠ গত দুই মাস ধরে পানির নিচে তলে আছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে ঘাস পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। এছাড়া দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতার কারনে পঁচা পানিতে পোকা এবং মশার উৎপত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলাবদ্ধতায় একদিকে যেমন খেলা ধুলা বন্ধ হয়ে পরেছে অন্যদিকে ব্যপকহারে দৃষিত হচ্ছে পরিবেশ।স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আত্রাই উপজেলা পরিষদ মাঠটির সাথেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরসহ পরিষদ ভবন এবং চতুর দিকে বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। এই মাঠে জাতীয় বিভিন্ন প্রোগ্রাম,খেলা ধুলাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকে। এছাড়া স্থানীয় কিশোর-যুবকরা বিভিন্ন খেলা ধুলাসহ শরীর চর্চা করে থাকেন এই মাঠে। একসময় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও ধীরে ধীরে চর্তুরদিকে বিভিন্ন ভবন নির্মান করায় এবং মাঠটি নিচু হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টির পানি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে গত দুই মাস ধরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতার কারনে মাঠের ঘাস পঁচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে। এছাড়া পঁচা পানিতে বিভিন্ন পোকা মাকড় এবং মশা জন্ম নিচ্ছে। এতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সেবা প্রত্যাশিরা যেমন ¯স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ দূর্গদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠছেন,অন্যদিকে খেলা ধুলা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরেছেন স্থানীয় কিশোর-যুবকরা।স্থানীয় যুবক সেলিম হোসেন,চঞ্চল আহম্মেদ,গোলাম রাব্বীসহ অনেকেই জানান, তারা প্রতিনিয়ত এই মাঠে খেলা ধুলা করতেন,কিন্তু মাঠে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার কারণে মাঠে খেলতে পারছেন না। অন্যদিকে এই মাঠ ছাড়া উপজেলায় আর কোন মাঠ নেই। তাই দ্রুত মাঠের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে মাঠ খেলার উপযোগী করে তোলার জন্য অনুরোধ জানান তারা। আত্রাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমাদের ক্লাবের সদস্যসহ এই মাঠে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা নিয়মিত খেলাধুলা করতো, কিন্তু এখন মাঠে পানি জমে থাকায় প্রায় দুই মাস ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। এভাবে আর কিছুদিন থাকলে হয়তো ক্লাবগুলোই অচল হয়ে পড়বে। ফলে দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পরেছে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন,একদিকে মাঠটি নিচু অন্যদিকে মাঠের চারপাশের ভবন হওয়ায় সামান্য পানি হলেই মাঠে পানি জমে থাকছে। মাঠটিতে মাটি ভরাট করে উঁচু করা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে উপজেলা প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আসা করছি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।