সাংসারিক কলহের জেরে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে বটির কোপে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রোববার সকালে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের টাকাহুত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যাংক কর্মকর্তা বগুড়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

আহত ব্যক্তির নাম মতিয়র রহমান (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্ত স্ত্রী জেলার বিনইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই মতিয়র রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে বগুড়া শহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ হতো। সম্প্রতি স্ত্রী শহরের একটি বাসা কেনা এবং সন্তানের নামে ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা জমা রাখার দাবি করেন। এ নিয়ে রোববার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী ঘর থেকে একটি বটি এনে মতিয়রের মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় মতিয়রকে উদ্ধার করে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, কর্মস্থলের এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলায় স্বামী নিজেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে তার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যদি এই ঘটনা নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।