রামু উপজেলার  উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি সড়কটি টানা চার দিনের ভারী বর্ষণে নদীতে ধসে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পাড় দুর্বল হয়ে গেছে, ফলে যেকোনো সময় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

২ জুন, সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির একাধিক অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল—যারা নিজেদের 'আওয়ামী লীগ নেতা' পরিচয় দেয়—তারা দীর্ঘদিন ধরে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে  বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে সড়ক ও আশেপাশের বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।

গর্জনিয়া ইউনিয়নের ছাত্র প্রতিনিধিরা সড়কটি পরিদর্শন শেষে বলেন, "নদীর তলদেশ থেকে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে পাড় ভেঙে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।"

তারা আরো দাবি করেন, বালু উত্তোলনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও লাইসেন্সিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এবং সড়ক ও নদীপাড়ে জিওব্যাগ বা বাঁধ দিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।

এদিকে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল জানিয়েছেন, “অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে বন্যা বা অতিবৃষ্টির আরেকটি ঢেউ এলেই এই গুরুত্বপূর্ণপ সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এবং এতে করে গর্জনিয়া ও জুমছড়ি এলাকার হাজারো মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়বে।