নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আর্দশ কলেজের বাউবির কেন্দ্রে এইচ. এস. সি. পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুজ্জামান বাটুর বিরুদ্ধে।
গত ১১ জুলাই শুক্রবার লোহাগড়া সরকারি আর্দশ কলেজের বাউবি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সুত্রে জানাগেছে ওই দিন ওই নেতা আহাদুজ্জামান বাটু নিজে পরীক্ষা না দিয়ে অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন! পরীক্ষার আধা ঘণ্টা পার হওয়ার পর ওর হলের কর্তব্যরত শিক্ষক পীযুষ কান্তি রায় তাকে সনাক্ত করেন। এবং তিনি বলেন পরীক্ষার্থী বিএনপি নেতা আহাদুজ্জামান বাটুর পরিবর্তে অন্য একজন ছিলেন। তখন তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে খাতা রেখে তাকে ছেড়ে দেন। এঘটনায় ধামা চাপা দেওয়ার জন্য বাউবির কতৃপক্ষ কাউকে জানান নাই। অনুসন্ধানে সাংবাদিকরা তিনটি রোল নাম্বার যথাক্রমে বের করতে সক্ষম হয়! সেটা নিম্নে উপস্থাপন করা হল: 2401145022/ 2401145023/ 2401145024 এর মধ্যে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান বাটুর রোল নম্বর ও রয়েছে।
এই ঘটনার ৫দিনপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদ বিষয়টি অবগত হন। তারপর উক্ত ঘটনাটি সাংবাদিকরা জানতে পেরে লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রেহবার দারাজের সাথে কথা বল্লে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। কিন্ত কেন্দ্র কমিটির শিক্ষক বাবু বিশ্বদেব, কেন্দ্রে কর্মরত শিক্ষক পিযুষ কান্তি রায় ঘটনার সত্যতা অকপটে শিকার করে বিভিন্ন রকম তালবানা করে সময়ক্ষেপন করেন। সাংবাদিকরা ওই পরীক্ষার্থীর নাম ও রেজিষ্ট্রেশন নং চাইলে তারা তা দেন নাই। অপরদিকে ওই কলেজের শিক্ষক বাউবি পরীক্ষা কমিটির আহব্বায়ক মোঃ খায়রুজ্জামান ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন। অপর দিকে বাউবির নড়াইল জেলার উপ- পরিচালক মোঃ মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, সকল প্রকার কাগজ পত্র কেন্দ্রে জমা আছে, আপনারা সরাসরি এসে দেখা করেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদের সংঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। এবং তিনি আরো বলেন, আমি যে প্রতিনিধি নিয়োগ করে ছিলাম তিনি ৫ দিন পরে আমাকে তথ্যটি দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবো এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।