পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে দুই দিন যাবত অনশননে বসেছে চাঁদনী নামের এক তরুণী। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১২ টায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে হারুন আর রশিদ মাস্টারের বাড়িতে তার ছেলে হাসান মাহমুদ সাজনকে বিয়ে করার দাবিতে চাঁদনী নামে এক তরুণী অনশন করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনশনরত চাঁদনী আক্তার জানান, চার বছর ধরে সাজনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। সেই সুবাদে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ করত। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে। এরপর বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন টালবাহানা করছিল, কিন্তু গত ৫ মাস যাবৎ সাজন সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আজ শুনলাম, সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে বাড়ি এসেছে। আমি এ বাড়িতে আসার পর সাজন আমাকে দেখেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাজনের ঘরের সামনে গেলে সাজনের মা, ফুফু ও বোন তিনজনে আমাকে মারধর করে। অভিযুক্ত হাসান মাহমুদ সাজনকে মোবাইলে করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সাজনের বাবা হারুন আর রসিদ মাস্টার জানান, আমার ছেলের সঙ্গে এই মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য এই মেয়েটি এসেছে।তরুনির মা বলেন আমার মেয়ের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে তার বিচার চেয়ে দুমকি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। অপরাধিকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, মেয়ের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এস আই সাহিদকে ঘটনাস্থানে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো