টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে কনের পিত্রালয়ে গোপনে একটি বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে রাথুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৫) ও একই ইউনিয়নের আউটপাড়ার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (১৭), পিতা মো. শামসুল হকের ছেলের মধ্যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়েটি গোপনে অনুষ্ঠিত হয়। এবং বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেন পাকুটিয়া ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কাজী আবু বকর সিদ্দিক খান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আইনের তোয়াক্কা না করেই এই বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।

সরকারি জন্মসনদ অনুযায়ী, কনের জন্ম ১৫ জানুয়ারি ২০১০ — অর্থাৎ তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। বর মিজানুর রহমানের বয়স আনুমানিক ১৭, যিনি সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন।

বাংলাদেশের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং ছেলেদের জন্য ২১ বছর। সে অনুযায়ী এই বিয়েটি সম্পূর্ণ বেআইনি।

বিষয়টি নিয়ে পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “এটি বেআইনি কাজ। আমি এলাকায় না থাকায় ঘটনাটি আমার অজান্তে ঘটেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, বাল্যবিবাহের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।