তিনি উপজেলার পূর্ব সাফুয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে মো. রমজান হাসান (২০) জানান, “আমরা দুই বোন ও এক ভাই। বাবা একজন দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও তিনি প্রতিবেশী বিল্লাল গাজীর কৃষিজমিতে কাজ করতে যান। কিন্তু রাতে তিনি ফিরে না আসায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে দেখি বাবার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি মাঠে পড়ে আছে।”
তিনি আরও জানান, মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল একটি জেনারেটরের বৈদ্যুতিক তার, যা স্থানীয় মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। “আমরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের জানাই এবং তারা পুলিশে খবর দেই।”
স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর মো. খলিলুর রহমান ও জাকির হাসান গাজী জানান, কৃষি জমির ওপর দিয়ে ডায়াবেটিক প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে মসজিদে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল, যাতে মুসুল্লিরা ধর্মীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারেন। “আমাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে আব্দুল মানান মারা গেছেন।”
এদিকে, জানা গেছে নিহত আব্দুল মানান স্থানীয় ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “আমরা মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”