প্রশাসনের কোন প্রকারের অনুমোদন বা ইজারা ছাড়াই উপজেলা ছাত্রদলের এক সদস্যের নের্তৃত্বে বসানো হয়েছে কোরবানীর পশুর হাট। ওই বাজারটির দু’পাশে উপজেলা প্রশাসন নারিকেল তলা বাজার ও রূপসা বাজারের ইজারা প্রদান করেছে প্রশাসন। এতে বৈধভাবে বাজার ইজারাদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে দেখা দিয়েছে নানান কৌতুহল। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূস্তুমপুর বাজারে পশুর হাটকে ঘিরে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই বাজারে রূস্তুমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে পশুর হাট।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে পশুর হাট বসিয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলনেতা মনির হোসেন রুবেল। প্রশাসনের থেকে কোন প্রকারের ইজারা বা মৌখিক অনুমোদন ছাড়াই পশুর হাটটি বসিয়েছেন তিনি। বাশেঁর খুঁটি ও সামিয়ানা টানানোসহ বাজারটির সকল কাজই সম্পন্ন করে কোরবানীর গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ডাকা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যানার দিয়ে চালানো হয়েছে প্রচারণা।
স্থানীয়রা জানান, এই হাটটি ইজাড়া হয় নাই, স্থানীয় ছাত্রদলের একজন এই উদ্যোগ গ্রহণ করে হাট বসান। এই হাটের সময় শেষ হলে গরুর বর্জ্যে পরিবেশও নষ্ট হয়। ওই সময় দুগর্ন্ধে এইদিক দিয়া মানুষও চলাচল করতে পারেনা।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মনির হোসেন রুবেল জানান, বাজারে কোন পশুর হাটের ইজারা হয়নি। কোন প্রকার অনুমোদন হয়নাই। আমরা এলাকাবাসি মিলে এই হাট বসিয়েছি। এটা নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান মঞ্জু বলেন, বিষয়টি অবগত নই, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, রুস্তুমপুর বাজারে পশুর হাট কোন ইজারা প্রদান করার তথ্য আমাদের কাছে নেই। সরকারের নিয়মনীতির বিরুদ্ধে কোন কাজ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের আওতাধীন নারিকেলতলা ও রূপসা বাজার ইজারা প্রদান করা হয়েছে। এর বাহিরে ওই ইউনিয়নে রুস্তুম বাজারসহ আর কোথায়ও কোন বাজারের ইজারা প্রদান করা হয়নি। রুস্তুমপুর বাজারে ইজারা ছাড়াই পশুর হাট বসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় তহশিলদারকে পাঠিয়েছি। নিয়মের বাহিরে কোন কিছু হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।