যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম কে মুক্তির দাবিতে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার মেয়ে সুজাতা। তার মেয়ে বলেন আমি সুজাতা, পিতাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, মাতাঃ মোছাঃ নারগিস বেগম, ঠিকানাঃ সাং-গ্রামঃ সিংঙ্গীমারি তকেয়াপাড়া (জমির হাট), ওয়ার্ড নং-০৯, ডাকঘরঃ বাসুপাড়া, থানাঃ পার্বতীপুর, জেলাঃ দিনাজপুর। এই মর্মে জানাইতেছি যে, আমার বাবা মোঃ সাইফুল ইসলামকে বিগত ফ্যাসিন্ট আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন নির্মম অত্যাচার ও চক্রান্তের শিকার যুবদল সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ মামলায় ফাসানো হয়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেশী দরিদ্র বাবার কন্যা পূজা রানী দাস, তার বয়স মাত্র ৫ (পাঁচ) বছর। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ সালে তাকে কেবা কাহারা অপহরন করে তার গোপনাঙ্গে কাটা ছেড়া ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতা ও তৎকালীন স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ আহসান হাবিব ও তার সহযোগীদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ঘটনার ভিকটিম পুজা রানী দাসের দরিদ্র পরিবারকে অপব্যবহার করে ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে মামলার যুবদল সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলামকে ১নং আসামী করা হয়।
তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা আহসান হাবিব ও ইসাহাকদের মিথ্যা মামলার যুবদল সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ ৮ বছর ৬ মাস যাবৎ বন্দি। মামলার তদন্ত ও সাক্ষীদের বক্তোবে স্পষ্ট হয়েছে যে, মোঃ সাইফুল ইসলামকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কারণ
মামলার স্বাক্ষীরা কেউ স্বচক্ষে সাইফুল ইসলামকে ধর্ষণ করতে দেখেননি, তারা সবাই অন্যের কাছে শুনেছেন। পূজা রানী দাসের ডাক্তারী রিপোর্ট অনুযায়ী স্পষ্ট যে, পূজা রানী দাস কখনো ধর্ষিত হননি। ঘটনার সময় মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন তার মোবাইল লোকেশন থেকে স্পষ্ট।ঢাকা সিআইডি ল্যাব থেকে প্রদত্ত রিপোর্টে ভিকটিম পূজা রানী দাস ও মোঃ সাইফুল ইসলামের ডিএনএ এর মিল। পাওয়া যায়নি। দুইবার রিমান্ডের পরও সাইফুল ইসলামের কোন স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি।
সকল সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে মোঃ সাইফুল ইসলামকে উচ্চ আদালত দীর্ঘ ৮ বছর ৬ মাস পর জামিন প্রদান করেন। এর পরেও আওয়ামীলীগের দোসররা থেমে থাকেনি। সাইফুল ইসলাম জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের দোসরদের অপকর্ম জনসম্মুখে আসার ভয়ে তারা আবারো চক্রান্ত শুরু করে। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে টাকার বিনিময়ে অনুগত ব্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করে। এতে মহামান্য হাইকোর্ট জামিন বাতিল করেন।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও মাননীয় আইন উপদেষ্টা জনাব আসিফ নজরুল মহোদয়ের কাছে দাবী বৈষম্যহীন আমাদের বাংলাদেশে মোঃ সাইফুল ইসলামের মতো অন্য কোন নিরপরাধ ব্যাক্তি যাতে শান্তি না পায় তাই ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে নির্দোষ মোঃ সাইফুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি একজন কর্মী হিসাবে আমাদের দাবী মামলাটি যেহেতু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তাই রাজনৈতিক ভাবে মামলাটি প্রত্যাহার করে পুনঃ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের নামে নতুন মামলা রুজু করা হোক। একই সাথে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে যারা চক্রান্ত করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে শাড়ি নিশ্চিত করে নির্দোষ মোঃ সাইফুল ইসলামকে মুক্তি প্রদান করার ব্যবস্থা করা হোক।