ঝালকাঠির রাজাপুরে বিষখালী নদী সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নদীর পাড় কাটার অপরাধে দুই মাঝিকে এবং নিষিদ্ধ বেহুন্দী জাল ব্যবহার করে পোনা মাছ ধরার দায়ে আরও একজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ডিত করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ্র এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডলের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
রাত ৯টার কিছু পর নদীর ভাঙনপ্রবণ একটি স্থান থেকে মাটি কাটার সময় প্রথম মাঝিকে আটক করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে একই অপরাধে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, স্থানীয় এআরএম ব্রিকস-এর জন্য নদীর পাড় থেকে মাটি উত্তোলন করছিলেন।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৩০ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে, বাদুরতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেহুন্দী জাল ব্যবহার করে পোনা মাছ ধরার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে এক ব্যারেল ভর্তি অতিক্ষুদ্র বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা জব্দ করা হয়।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে মোট ৯টি বেহুন্দী জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। পরে এসব জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। উদ্ধারকৃত আনুমানিক ২ মণ পোনা মাছ স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
এই অভিযানের বিষয়ে ইউএনও রাহুল চন্দ্র বলেন,
"নদী ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আইন অমান্যকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।"
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল বলেন,
"বেহুন্দী জাল দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ। জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।"