জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণ ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক বদলির আদেশ’ প্রত্যাহারের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউজ।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বেনাপোল কাস্টমসে বন্ধ রয়েছে সকল আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত শুল্কায়ন কার্যক্রম। কাস্টমস ভবনের প্রধান ফটকে ব্যানার টানিয়ে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্মকর্তাদের টেবিলগুলো ফাঁকা, এবং সার্ভার অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

তবে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার। তিনি জানান, “পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সেবা যথারীতি চলছে, তবে কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ।”

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “শনিবার সকাল থেকে কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ। গত বৃহস্পতিবার আইজিএম ইস্যু করা ৬টি ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের পর নতুন করে আর কোনো ট্রাক বন্দরে ঢোকেনি।”

এর আগে, গত সপ্তাহজুড়ে ধাপে ধাপে কর্মবিরতি পালন করা হয়—

  • ২৩ জুন (সোমবার): সকাল ৯টা থেকে ১২টা

  • ২৪ জুন (মঙ্গলবার): সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা

  • ২৬-২৭ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার): দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত

শুক্রবার বন্ধের পর শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা দাবি করছেন, এনবিআর চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় বদলির আদেশ এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি চলছে। তাঁরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

এই কর্মসূচির ফলে দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে।