চার মাস ২০ দিনের দীর্ঘ বিরতি শেষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেবতী কুমার বিশ্বাসের অয়ন ট্রেডার্স ৫০ টন পেঁয়াজ নিয়ে দুইটি ট্রাক ভোমরা বন্দরে নিয়ে আসে। এ আমদানিকৃত পেঁয়াজের ছাড়কারক প্রতিষ্ঠান ছিল ভোমরা বন্দরের সিএণ্ডএফ এজেন্ট মোশাররফ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জিএম আমীর হামজা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

সন্ধ্যায় আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে, যখন আরও পাঁচটি ট্রাক পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। বর্তমানে ৯টি ট্রাক পেঁয়াজ ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দরে অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছে, যা শীঘ্রই আমদানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবারের আমদানিকৃত পেঁয়াজের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৮৫ টন।

ভারতীয় পেঁয়াজের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সুরধারা কমার্সিয়াল লিমিটেড এবং ছাড়কারক ভারতীয় সিএণ্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের তাপস ট্রেডার্স। আমদানিকৃত ট্রাকের নম্বর ছিল ডব্লিউবি-২৯সি-৫৭৮৬ ও ডব্লিউবি-২৯সি-১৩৮৬। তবে পরবর্তী ট্রাকগুলোর নাম্বার এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।

এর পাশাপাশি, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জানান, ২০০ মেট্রিকটন চাল ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানির জন্য ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দরে অপেক্ষমান রয়েছে। গত বুধবার থেকে চাল আমদানির এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন বলেন, "চলতি বছরের ২৭ মার্চ এ বন্দর দিয়ে সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। রবিবার থেকে আবারো পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।" এই আমদানি পুনরায় শুরু হওয়ায় বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পুনরায় শুরু হওয়া বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। পেঁয়াজের সংকট কমে আসবে এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল হতে পারে। পাশাপাশি, চাল আমদানির অপেক্ষায় থাকা ট্রাকগুলোও শীঘ্রই ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করলে খাদ্যপণ্যের সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এই ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।