“স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে, বাংলার মাটিতে আর কোনো নব্য স্বৈরাচারের স্থান হবে না”—এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত জুলাই পদযাত্রার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, থাকবে না ধর্ষক, চাঁদাবাজ বা লুটেরার জায়গা।”

তিনি আরও বলেন, “ভোলার গ্যাস দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হলেও এখানকার মানুষ গ্যাস সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এটা একটি চরম বৈষম্যের নিদর্শন।”
জুলাই বিপ্লবে ভোলার অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি শহীদ দিয়েছেন ভোলার মানুষ। এনসিপি ভোলাবাসীর পাশে থাকবে, তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে।”

স্বাস্থ্যসেবার দুরাবস্থা ও উন্নয়ন বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান, “ভোলার হাসপাতাল কার্যত অকেজো, আর যোগাযোগ ব্যবস্থাও পিছিয়ে। জাতীয় নাগরিক পার্টি ভোলাকে একটি উন্নত ও আধুনিক জেলায় পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

ভোলা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আক্তার মিতু, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত হাসনাইন, ভোলা জেলা সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জেলা সমন্বয়কারী ইয়াসির আরাফাত।

সমাবেশে জেলার সাতটি উপজেলার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকা থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করেন।