তার সহকর্মী সেলিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হিরো আলমের বুকের ব্যথা বেশি হলে পরিবারের সদস্যরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করেন। তবে সেখানে দুই ঘণ্টা ভর্তি থাকার পর গণমাধ্যমকর্মীদের ঝামেলার কারণে তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নিতে বলা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা আলমকে নিয়ে দ্রুত টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
হিরো আলমের বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোর্শেদা বলেন, ‘কার্ডিওলজি বিভাগে লোকজনের আসা-যাওয়ায় বাধা নিষেধ রয়েছে। তবে উনি (হিরো আলম) ভর্তি হওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় বেড়ে যায়। এজন্য হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তাকে অন্যত্র নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
এর আগে স্ত্রীর কাছ থেকে তালাকের নোটিশ পেয়ে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন হিরো আলম। তবে পরিবার ও সন্তানদের অনুরোধে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান নিজেই।
এরমধ্যেই খবর এলো বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে হার্ট অ্যাটাক করেছেন হিরো আলম। তার ফেসবুক থেকে এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তার আগে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে আত্মহননের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন আলম। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘রিয়া মনি মিথ্যা কথা বলে। তালাক আর পরকীয়া মেনে নিতে পারলাম না। হিরো আলম ওষুধ খেয়ে মরে না, আজকে সত্যি সত্যি মারা যাব। রিয়া মনির ভালোবাসা মিথ্যা ছিল, তাই মেনে নিতে পারলাম না। রিয়া মনিকে কত ভালোবাসি আজ নিজেকে শেষ করে বুঝিয়ে দেব, আমিই রিয়েল ছিলাম। কাল বিকেল পাঁচটায় জানাজা আমার নিজ বাসভবনে।’
কিছুদিন আগেও রিয়া মনির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন হিরো আলম। বগুড়ার ধুনটে নিজ বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধ খান তিনি। এক বন্ধু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রিয়া মনি। আলমকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আবারও একত্রে বসবাস শুরু করেছিলেন তারা। হঠাৎ আবারও মনোমালিন্য হয় দুজনার।
আলমের দাবি, পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তার স্ত্রী। প্রমাণ হিসেবে নিজের ফেসবুকে পেজে পরকীয়া প্রেমিক, আরেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ম্যাক্স অভির সঙ্গে স্ত্রীর কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরই স্বামীকে তালাকের ঘোষণা দেন রিয়া মনি।