সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহীনের পিতা ও শিমুলবাঁক গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী আজহার আলীর বিরুদ্ধে খলার ধান লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিমুলবাঁক গ্রামবাসী

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহীনের পিতা ও শিমুলবাঁক গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী আজহার আলীর বিরুদ্ধে খলার ধান লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিমুলবাঁক গ্রামবাসী৷ শুক্রবার(১৬ মে) দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় শিমুলবাঁক গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান৷ কথা হলে গ্রামবাসী বলেন, আজহার আলী আমাদের গ্রামের সম্মানি ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছেন। বাস্তবে এরকম কিছু ঘটেনি৷ তাদের ধান তাদের ঘরেই গেছে৷ এখানে কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। আর চেয়ারম্যান শাহিন অত্যান্ত ভালো মানুষ। তিনি সবসময়য় গ্রামবাসীর সুখেদুখে পাশে আছেন৷ তাকে নিয়েও নানা মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে। যা মুঠেও ঠিক হয়নি৷ এই অভিযোগে শুধু আজহার আলী নয় পুরো গ্রামের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সাবেক মেম্বার আব্দুল তালিম বলেন, এখানে ধান লুটপাট বা সন্ত্রাসী কোন কার্যক্রম ঘটেনি। আমি ও বর্তমান মেম্বার আমরা দুজন নিজে উপস্থিত থেকে জাহাঙ্গীরের ঘরে ধান পৌঁছে দিয়েছি৷ একটা ধানও হেরফের হয়নি৷ আজহার আলীর পুত্র মাসুদ মিয়া বলেন, বুধবার একটি লাইভ ও অনলাইনে নিউজ করে আমার বৃদ্ধ বাবাকে সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে হেনস্থা করা হয়েছে৷ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে পুলিশ সদস্য আল আমিন। সে সম্পর্কে আমার ভাগ্না। সে লাইভে বলেছে আমার বাবা, আমার ভাই সন্ত্রাস। সে পুলিশ দিয়ে আমাদেরকে রিমান্ডে নিবে। এবং জাহাঙ্গীরের পরিবার ধান লুটপাটের যে অভিযোগ দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এলাকার মানুষ জানেন আমার বাবা কেমন প্রকৃতির লোক৷ যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বৃদ্ধ বাবার মান ক্ষুন্ন করেছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। অভিযোগের সত্যতা জানতে প্রবাসে থাকা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। গ্রামের সবাই তাদের পক্ষ নিয়েছে। তবে বাড়িতে থাকা অন্যান্য মহিলারা এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি। মুঠোফোনে কথা হলে পুলিশ সদস্য আল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা৷ আমি এরকম কোন কাজ করিনি। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, শিমুলবাঁক গ্রামের জসিম উদ্দিন, পাশ্ববর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের মানিক মিয়া, ধান খলার মালিক আকবর আলী, ট্রলি ড্রাইবার সায়েক মিয়া ও কামরান মিয়া প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিমুলবাঁক গ্রামের জয়নুর আহমদ, ফারুক মিয়া, আবুল হোসেন, মুজাহিদ মিয়া, ফাকুল মিয়া, আজহার মিয়া, রামিম মিয়া, রেজু আহমদ, জুয়েল মিযা, মাসুক মিয়া, এলকাছ মিয়া, সুজন মিয়া, মুকিত মিয়া, সামিউল হক,সালেহ আহমদ, রেজাউল হক, সৌরভ মিয়া, তেরাই মিয়া, বজলু মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, আমির উদ্দিন, হেলাল মিয়া, সবুজ মিয়া, নাজ আলী, রবি মিয়া, মাজহারুল, হাবিব উল্লাহ ও রিয়াদসহ আরও অনেকে।