কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় সরকারি জমিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে উসিউজ্জামান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের একটি পাকা রাস্তার পাশে, যেখানে সরকারি জমি নিজের বলে দাবি করে উসিউজ্জামান অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি দাবি করে আসছিলেন যে রাস্তার পাশের জমিটি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে রাজীবপুর উপজেলা ভূমি অফিস জমিটির কাগজপত্র যাচাই করে। যাচাই শেষে প্রমাণ হয়, সংশ্লিষ্ট জমি উপজেলা পরিষদের নামে রেকর্ডভুক্ত এবং এর একটি অংশ ব্যক্তিমালিকানায় থাকলেও তিনি যে অংশ দখল করেছেন, তা সরকারি জমির আওতাভুক্ত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাগজ যাচাইয়ের পর সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে ব্যক্তির দখল দাবি বাতিল করা হয়। এতে সরকারি জমি দখলের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।
এর আগে, সোমবার ওই সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়। এ সময় বাধা দেন উসিউজ্জামান ও বদিউজ্জামান নামের ব্যক্তির স্বজনরা। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জমির ম্যাপ জনসম্মুখে তুলে ধরেন। তবে উসিউজ্জামান তা অস্বীকার করেন এবং কাগজ যাচাইয়ের আবেদন জানান। স্থানীয়দের অনুরোধে ইউএনও গতকাল বুধবার (১৮ জুন) রাজীবপুর উপজেলা হলরুমে জমির কাগজ যাচাইয়ের আয়োজন করেন। স্থানীয় সচেতন মহল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে যাচাই শেষে প্রমাণিত হয়, জমিটি উপজেলা পরিষদের মালিকানাধীন।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের দখলচেষ্টা আর কেউ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে প্রশাসনের তদারকি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। সরকারি জমি রক্ষায় প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।