ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙনে দিশেহারা কয়েকশত পরিবার। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙনে দিশেহারা কয়েকশত পরিবার। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে এবং চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর ও নরসিংহপুর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিশাল ভাঙনে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। বছরের পর বছর এই নদী ভাঙনের ফলে ৫ গ্রামের হাজারো মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার (১৪ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, সাখাইতি, সোলাবাড়ি ও লায়ার হাটি গ্রামের ঘরবাড়ি, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্টান ও চাতালকল সহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনের কবলে থাকা কয়েকশত পরিবার আতংকে দিন পার করছেন। এ ব্যপারে পানিশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওসমান গণি, ডাঃ সাধন পাল ও সরাইল উপজেলা পরিষদের অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান হানিফ আহমেদ সবুজ বলেন, ৬ গ্রামের হাজারো পরিবার  নদী ভাঙনের কবলে হুমকির মুখে। এই এলাকায় অর্ধশত চাতালমিল রয়েছে। বিগত দিনে প্রায় ২০টি চাতালকল ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা মেঘনার বামতীরে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ চাই।    
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর রহমান বলেন, মেঘনা নদী ভাঙন রোধে সরাইল পানিশ্বর এলাকায় স্থায়ী ভাবে মেঘনার বামতীরে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে কিন্তু তাহা এখনো অনুমোদন হয়নি। চুন্টার আজবপুর এলাকায় অস্থায়ী ভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য ৪৫৯০ বস্তা জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, চুন্টা ও পানিশ্বর এলাকার নদী ভাঙন সরেজমিনে দেখে আসছি। চুন্টার আজবপুর এলাকায় অস্থায়ী ভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য জিও ব্যাগের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে এবং পানিশ্বর এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দরখাস্ত দিয়েছি।