জামালপুরের সরিষাবাড়িতে স্বামী স্ত্রীর অন্তর-কলহে হতাশায় আলমগীর হোসেন(৩২) নামে একজন আত্মহত্যা করেছেন। 

গতকাল মঙ্গলবার(২৫শে ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন(৩২) ঘরের ধরনার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, আলমগীর গত ছয় বছর আগে মালিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে নিপা(২৩) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আলমগীর-নিপা দম্পতির একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই আলমগীর মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় সে তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতো। এছাড়াও সে রাতে ঘরে না অবস্থান না করে বিভিন্ন গাছে গাছে থাকতো বলেও জানান স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে স্ত্রী নিপার সাথে কলহের সৃষ্টি হলে এক মাস আগে স্ত্রী নিপা তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি মালিপাড়া চলে যান। 

আলমগীরের মা আমেনা জানান, পরেরদিন ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আলমগীরের বড় ভাই আলামিন কে নিয়ে তিনি স্ত্রী নিপার বাড়িতে যান তাকে বোঝানোর জন্য। তারপর সন্তান সহ স্ত্রী নিপাকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরলে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলেকে দেখতে পান তারা। 

এসময় আলমগীরের স্ত্রী নিপা এক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যাওয়াকে অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি গত পরশুদিন বাবার বাড়ি গিয়েছিলেন এবং তার শাশুড়ি ও তার বড় ছেলে আলামিন তাকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তারা সবাই ফিরে এসে ঘরের মধ্যে আলমগীরকে ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। 

এবিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চাঁদ মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে এবং পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে মরদেহ দাফনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।