ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে ১০ জুলাই উক্ত ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
গত ১১ জুলাই ২০২৫ খ্রি. পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় আসামি ১। মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও ২। তারেক রহমান রবিন(২২) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামি তারেক রহমান রবিনের হেফাজত হতে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যা ব কর্তৃক আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫) নামক দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়,আজ শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ রাত আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকায় সোহাগ হত্যার ঘটনায় মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরও এক এজাহার নামীয় আসামি গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
লালবাগ বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মূল রহস্য উৎঘাটন, সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধী গ্রেফতার এবং ভিকটিম কেন এই ঘটনার শিকার হলো তা উৎঘাটনের জন্য একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত ঘটনা সংঘটিত হয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।