বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “প্রত্যেক মানুষকে দ্বীনের ছায়াতলে নিয়ে আসাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।” এজন্য ইখলাসের সাথে দ্বীনের কাজ করতে হবে এবং অর্পিত সাংগঠনিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
তিনি এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উদ্যোগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে আয়োজিত জেলা ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্যদের দুই দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
ডা. শফিক বলেন, “আমরা জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই। ইসলামের আলোকে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েম হলে মদীনার আদলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিরাপত্তা পাবে।” তিনি আরও বলেন, “চোখের পানি ফেলে সিজদায় পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। আমরা আল্লাহরই সাহায্য প্রার্থনা করি।”
তিনি দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে বলেন, “জনশক্তিকে বুঝে-শুনে পরিচালনা করতে হবে। কেউ সংগঠনের নামে অপরাধ করলে তার বিচার অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী হবে। সংগঠনের কেউ নিজেকে পাহারা দেবে, সংগঠন সবাইকে পাহারা দেবে।”
তিনি শহীদ নেতৃবৃন্দের রক্ত, মজলুমের চোখের পানি ও মুখলিছ নেতা-কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানীর কথা স্মরণ করে বলেন, “এসব ত্যাগের কারণেই জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা Jamaat-এর প্রতি বেড়েছে।” তিনি কুরআন-হাদীস অধ্যয়ন ও পারিবারিক সম্পর্ক দৃঢ় করার পরামর্শও দেন।
শিবিরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা পেশ করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সাংগঠনিক ও সামাজিক জীবনে আমাদের আচরণ হতে হবে পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত। উত্তম ব্যবহার দায়িত্বশীলদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।”
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “সংগঠনের জনশক্তিকে আখিরাতমুখী হতে হবে। ইউনিট সংগঠনই হলো মজবুত ভিত্তি।”
শিক্ষাশিবিরটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও অঞ্চল সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, মুহাম্মদ আব্দুর রশীদসহ রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের বর্তমান ও সাবেক জেলা আমীরবৃন্দ।