লালমনিরহাটের তিনটি উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে শিশুসহ অন্তত ৫৭ জন নারী ও পুরুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার চেষ্টা চালায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)

লালমনিরহাটের তিনটি উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে শিশুসহ অন্তত ৫৭ জন নারী ও পুরুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার চেষ্টা চালায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয়দের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ১৭ ঘণ্টা পর রাতের আঁধারে সীমান্ত এলাকার আলো নিভিয়ে দিয়ে ওই ভারতীয় নাগরিকদের নিজেদের ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেয় বিএসএফ। বুধবার (২৮ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, একই সময়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একযোগে ৫৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে বিজিবির তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুশ-ইনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। চোখে মুখে আতঙ্ক আর ক্লান্তির ছাপ নিয়ে ওইসব নারী-পুরুষ ও শিশুরা সারাদিন ধরে কাঁটাতারের ওপারে, ভারতীয় ভূখণ্ডে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছিল। পরে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে তাদের আবার নিজেদের ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেয় বিএসএফ। দূর্গাপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সালাম বলেন, “সীমান্তের মানুষ যেন ভিডিও করতে না পারে, সে কারণে সন্ধ্যার পর তারা সীমান্তের আলো নিভিয়ে দেয়। এরপর পুশ-ইনের শিকার ভারতীয় নাগরিকদের নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা এখন ক্যাম্পেই রয়েছে।” এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজিবি টহল জোরদার করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও সজাগ দৃষ্টি রাখছে যাতে পুনরায় কোনো পুশ-ইনের ঘটনা না ঘটে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।