বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই মাস থেকেই এই ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ের ওপর নির্ভর করছে চূড়ান্ত সময়সূচি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আবাসন ভাতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং শিগগিরই অর্থ ছাড়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন,“আমরা ইতোমধ্যেই আবাসন ভাতা নিয়ে একটি সভা করেছি। বর্তমানে এই সংক্রান্ত ফাইলের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যখনই মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় হবে, তখনই শিক্ষার্থীদের ভাতা প্রদান করা হবে। যদি আগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বর মাসে অর্থ ছাড় হয়, তবুও আমরা জুলাই মাস থেকেই হিসাব করে একসঙ্গে বৃত্তির টাকা প্রদান করবো। তোমরা এটা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করোনা—বৃত্তি অবশ্যই দেওয়া হবে।”
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে আবাসন ভাতা না পাওয়া ও অন্যান্য দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ মে “লং মার্চ টু যমুনা” কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। আন্দোলনের মূল তিন দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল, চলতি অর্থবছরে অন্তত ৭০% শিক্ষার্থীদের মাসিক আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা।
এই দাবিকে কেন্দ্র করেই চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসন ভাতা বরাদ্দের নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়েও ভাতা নিশ্চিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আবাসন ভাতা প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন,“আমরা আন্দোলন করেছি আবাসন ভাতাসহ অন্যান্য দাবির জন্য। জুলাই মাস থেকেই শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দিতেই হবে—এটা তাদের প্রাণের অধিকার। এটি না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও কার্যকর অর্থ বিতরণের অপেক্ষায়। জুলাই মাস থেকে ভাতা প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলে সেটি হবে আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন।