ইসলামি আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বক্তা দ্বীনি সংগঠন কুষ্টিয়ার সাবেব ছদর/সভাপতি মাওলানা ইউনুস আলী, প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কুষ্টিয়া জেলা ছদর/সভাপতি ও জেলা নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক মাওলানা নূর মোহাম্মদ বিন হানিফ, বিশেষ অতিথি ইসলামি আন্দোলন জেলা নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ডাক্তার মাওলানা দেওয়ান আব্দুল খালেক, জেলা নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও ইসলামি আন্দোলন জেলা সেক্রেটারি জিএম তাওহীদ আনোয়ার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম, ইসলামি আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুলতান, আব্দুল্লাহ আখন্দ, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতী ফরিদ উদ্দিন আবরার, কুষ্টিয়া সদর সভাপতি মুফতী মুখতারুজ্জামান, কুষ্টিয়া সদর সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া পৌর সভাপতি শফিকুল ইসলাম, পৌর সেক্রেটারি ক্বারি আবু সাঈদ, ইসলামি যুব আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি হাফেজ তাওহীদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন যে, ফ্যাসিস্ট ও চাঁদাবাজ তৈরি হয় এমন নির্বাচন চাই না: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এ পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোট ডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ যারা বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে এর কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি। একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। এছাড়াও বক্তারা আরও বলেন, আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে অনিয়ম, ভোট চুরি, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অবসান ঘটবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু দল এ পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। কারণ তারা জানে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ আধিপত্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’ সর্বপোরি নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় ব্যাপক উপস্থিতি জনসমাগমের মাঝে দোয়া পরিচালনার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।