জেলেদের মতে,এক সপ্তাহ আগে ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকার করতে এই ট্রলারটি সাগরে গিয়েছিল।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইঞ্জিন বিকল ভাসমান জাহাজ ও জেলেদের উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই ) রাতে নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ সাগরে নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী দ্বীপ হতে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুঁজে পায়। এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত প্রদর্শন করতে থাকে যা নৌবাহিনী এই ট্রলারটিকে সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় জাহাজটি ভাসতে থাকা ট্রলারের নিকট ছুটে যায়। ট্রলারটির নিকট পৌঁছানোর পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে তারা গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত হলে নৌ সদস্যরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি প্রদান করেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যগণ জেলেসহ ট্রলারটিকে (২৩ জুলাই) বুধবার দুপুরে নিরাপদে কুতুবদিয়া দ্বীপ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এবং তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌ সদস্যরা জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সপ্তাহ আগে সাগরে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপকূলীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।