পদার্থবিদ্যার প্রভাষক নরেন্দ্র, জীববিজ্ঞানের প্রভাষক সন্দীপ এবং তাদের বন্ধু অনুপ শহরের একটি বেসরকারি কলেজে চাকরি করে, যেখানে ভুক্তভোগী ছাত্রীটি পড়াশোনা করতে যায়।
পুলিশের অভিযোগ, নরেন্দ্র প্রথমে একাডেমিক নোট শেয়ার করার প্রলোভনে ছাত্রীটির সাথে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এরপর সে তাকে বেঙ্গালুরুতে অনুপের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি সম্পর্কে কাউকে কিছু বললে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দেয়।
কয়েকদিন পরে, সন্দীপ উক্ত ছাত্রীকে উত্যক্ত করতে গেলে ছাত্রীটি তাকে বাধা দেয়। কিন্তু সে তাকে নরেন্দ্রের সাথে তার ছবি ও ভিডিও রয়েছে বলে ব্লাকমেইল এর মাধ্যমে অনুপের বাড়িতেই তাকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তী সময়ে অনুপও একই কায়দায় ঐ ছাত্রীকে তার ঘরে প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ব্লাকমেইল ও ধর্ষণ করে।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটি বেঙ্গালুরুতে তার মা-বাবার সাথে দেখা করার সময় এসব ব্যাপারে জানালে তাঁরা কর্ণাটক রাজ্যের মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন এবং মারাঠাহল্লি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে দুই শিক্ষক এবং অনুপকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।