গ্রামটিতে রয়েছে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি আলিয়া মাদ্রাসা এবং একটি মহিলা কলেজ। শিক্ষার প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কাহালপুরের বুক চিরে চলে গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, যা গ্রামবাসীর যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনকে সহজ ও সাশ্রয়ী করেছে। পাকা রাস্তাঘাট এবং সুসংগঠিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ।
গ্রামের মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। ধান, পাট, সরিষা, শাকসবজি ইত্যাদি চাষাবাদে এই এলাকার কৃষকরা দক্ষ। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারও দিনে দিনে বাড়ছে।
এখানে রয়েছে বহু মসজিদ ও একাধিক মন্দির, যেখানে মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ধর্ম পালন করেন। কাহালপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি একটি মূল্যবোধে পরিণত হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবেশও শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। এখানকার মানুষ পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহযোগিতামূলক।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এই কাহালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক রথী-মহারথী ব্যক্তি—যারা শিক্ষা, সাহিত্য, প্রশাসন, ধর্মীয় শিক্ষা ও সমাজসেবায় দেশজুড়ে সুনাম অর্জন করেছেন। তাঁদের অবদান কাহালপুরের গৌরবকে আরও উজ্জ্বল করেছে।
এছাড়া গ্রামে রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন শহিদ মিনার, যা জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক বলেন, “আমাদের কাহালপুর শুধু একটি গ্রাম নয়—এটি একটি আদর্শ, যেখানে সব ধর্ম, শ্রেণি ও পেশার মানুষ মিলেমিশে থাকে। এখানকার মাটি যেমন উর্বর, তেমনি মানুষের মনও উদার।”
কাহালপুর গ্রামটি আজ শুধু মোল্লাহাট নয়, পুরো বাগেরহাট জেলার জন্য একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।