কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি আরও ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে চিলমারী ও রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় লাখো মানুষ। পাশাপাশি পদ্মা নদীর তীরঘেঁষা ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের আবাদি জমিও তলিয়ে গেছে। পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ১২.৯০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা ১৩.৮০ মিটার হওয়ায় বর্তমানে পানি বিপৎসীমার চেয়ে ০.৯০ মিটার নিচে রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫৩০ হেক্টর আবাদি জমি বন্যায় তলিয়ে গেছে। এতে সবজি, ভুট্টা, ধান, কলা ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত দুই ইউনিয়নের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রতিদিন নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। গতকাল আমার বাড়িতে পানি ছিল না, আজ পানি ঢুকে গেছে। আমার ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বসবাস, সবাই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নিম্নাঞ্চলের ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান হারে পানি বাড়তে থাকলে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল জানান, নদীর ওপারের ১৬টি গ্রামে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বসবাস, যার অধিকাংশই এখন পানিবন্দী হয়ে আছে।