কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জনতার হাতে আটক হয়েছে দুই মাদককারবারি। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

উপজেলার চান্দুপর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামের মূল সড়কের উপর মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভৈরবের নিউটাউন আমলাপাড়ার জালাল উদ্দীনের ছেলে হৃদয় মিয়া (৩০) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর তুলাতলী এলাকার মৃত আ. মন্নাফের ছেলে মুজিবুর রহমান (৬০)। জানা যায়, প্রাইভেটকার করে রাতের বেলায় যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে চারিয়া গ্রামের লোকজন তাদের রাস্তার উপর আটক করে। চোর ভেবে আটকে রাখার পর পুলিশে খবর দিলে তাদের গাড়ী চেক করে দুই কার্টুন অর্থাৎ ত্রিশ কেজি (১৫টি প্যাকেট দুই কেজি করে) গাঁজা উদ্বার করা হয়। এ সময় গ্রামের সচেতন যুবকদের কয়েকজন ফেসবুকে লাইভ করলে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, কটিয়াদী থেকে মহাসড়ক হয়ে স্বনির্ভর মোড় হয়ে কাহেতেরটেকি বোয়ালিয়া রোড হয়ে ভিতর দিয়ে সম্ভবত দূরে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। চারিয়া গ্রামের সচেতন মানুষ সন্দেহবশত: তাদের আটক করলে বেরিয়ে আসে মাদকের আসল ঘটনা। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে বাট্টা তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাট্টা হাওর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নি.) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া। তার সঙ্গে ছিলেন এসআই (নি.) মো. ফখরুল ইসলাম, এসআই (নি.) মানষ ভদ্র, এএসআই মাসুদ রানা ও সঙ্গীয় ফোর্স। স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের পুলিশের পাহাড়া থাকে বিধায় মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রামের ছোট রাস্তাগুলো ব্যবহার করে মাদক চালানের চেষ্টা করে। গ্রামের মূল পয়েন্ট, মহাসড়ক থেকে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ পথে পুলিশি নজরদারি থাকলে এভাবে ধরা পরবে মাদককারবারিরা বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে এবং বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।