জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি বাঙ্গালপাড়া গ্রামের ৬২ বছর বয়সী রোকেয়া বেগম,
যিনি মৃত নুরুল হকের বিধবা স্ত্রী, তাঁর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ছত্রজিৎ গ্রামের ১৯ বছর বয়সী মিথুন রায়ের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
এ সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় আগে থেকেই আলোচনা চলছিল এবং কয়েক মাস আগেও গ্রামে এ নিয়ে সালিশ হয়।
তবে তাতে সম্পর্কের অবসান হয়নি বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত শনিবার রাতে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন মিথুন, কিন্তু রোকেয়া বেগম তাতে রাজি না হলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এরপর রোকেয়া বেগম শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবস্থার অবনতি হলে পরদিন সকালে তাঁকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে সেখান থেকে রেফার করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
এদিকে, ঘটনার সময় এলাকাবাসী মিথুনকে রোকেয়ার বাড়ি থেকেই আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখে।
পরে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর সোমবার সকালে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তসলিম উদ্দিন জানান, বৃদ্ধা রোকেয়া বেগমের সঙ্গে যুবক মিথুনের সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর রাজারহাটজুড়ে নানা ধরনের আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে