কুড়িগ্রাম সদর কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে কাঁঠাল বাড়ী সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাপ্তাহিক সুপারি হাট বসিয়েছেন হাট কমিটির লোক জন। এ পর্যন্ত এই স্কুল মাঠের সরকারি বিধিকে আঙ্গুল দেখিয়ে প্রায় ৫-৬ টি হাটের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২রা জুন রোজ (সোমবার) একই মাঠে পুনরায় হাট ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। এই স্কুল মাঠে একটি হাইস্কুল ও একটি প্রাইমারি স্কুল আছে।
প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে হাট বসায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও মাঠে খেলতে আসা বেশ কিছু শিক্ষার্থী। মাঠে যেখানে সেখানে সুপারি ঢেলে বেচা-কেনা চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যালয়ের সুসজ্জিত খেলার মাঠ,গাছগাছড়া শিশুদের খেলাধুলার অবকাঠামো সহ অন্যান্য বিষয়াদি।
সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থী নেই, পতাকা ওঠেনি, মেইন গেটে ঝুলে আছে তালা। আশেপাশে বেশি বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁঠালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বলেন বিদ্যালয় বন্ধ রেখে আমরা ক্লাস্টা ট্রেনিং - এ এসেছি।বিদ্যালয় এর মাঠে হাট বসানোর বিষয়টা আমার জানা নেই ।
এ বিষয়ে প্রাইমারি জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী প্রথম অবস্থায় বলেন স্কুল বন্ধের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না পরবর্তী সময়ে তিনি জানান ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। তাই প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। হাট বসানো ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে কখনই হাট বসানো যাবে না। তিনি বলেন হাট ইজারাদার বিষয়ে যেহেতু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ বিষয়ে তার কাছে জানতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হাট ইজারাদার দেওয়া হয়েছে তার নিজস্ব জমিতে কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের মাঠে হাট বসানো যাবে না। যেহেতু বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে সে ক্ষেত্রে আমি হাট ইজারাদার কে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেবো। তারা যেন পুনরায় এ ধরনের কোনো কাজ না করে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানোর বিষয় সম্পর্কে
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এ বি এম জাকির হোসেন কে বললে হাট বসানোর ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা বিদ্যালয় এসে দেখতে পারি বিদ্যালয় এর মাঠে বিভিন্ন অংশে রশি দিয়ে আলাদা করে দিয়ে হাট বসিয়েছে তবে পাঠদান সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের এ্যাডোক কমিটির সভাপতির কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি ।সাময়িক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এতে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।
এ বিষয়ে প্রাইমারি জেলার শিক্ষা অফিসার জনাব স্বপন কুমার রায় বিদ্যালয় বন্ধে প্রসঙ্গে বলেন শিক্ষকদের ক্লাসটা টেনিং চলছে তাই তারা স্কুল বন্ধ দিয়ে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানের সামনে হাত বসানো ব্যাপারে ইউএনও সাহেব ভালো জানেন। কেননা তিনি হাট ইজারা দিয়েছেন।
সরকারি প্রজ্ঞাপনের আলোকে বলা হয়েছে বিদ্যালয় মাঠে কোন প্রকার হাট বসানো যাবে না। বিষয়টি আমার জানা নেই তবে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।