জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নে (ভিজিএফ) বিতরণের কার্ড ভাগাভাগী নিয়ে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু'পক্ষের চারজন আহত হয়ে

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নে (ভিজিএফ) বিতরণের কার্ড ভাগাভাগী নিয়ে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু'পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। গত রোববার বেলা ১২ টায় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইউনিয়ন পর্যায় (ভিজিএফ) এর আওতায় দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি চাল বিতরণের জন্য কার্ড ভাগাভাগী নিয়ে জামায়াত ও বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে দফায়দফায় আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হয়। এ নিয়ে ২৫ মে রোববার সকাল ১০টায় পরিষদের ভিতরে দু' পক্ষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার একপর্যায় কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে বেলা ১২ টায় ওই বাজারে উভয় পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি বানিয়াচাপর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলী(২৫), পাচুইল গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির (১৭)। এবং বিএনপি কর্মী রাজু (২২) ও জুয়েল (২৫) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে পৌচ্ছে দেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। এ বিষয়ে আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হোসনে আরা খাতুন বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতে পরিষদের সকল বরাদ্দ সমঝোতা মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। জামায়াত, বিএনপির নেতাদের সাথে আলোচনা করে সব কিছু সমাধাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে বাহিরে তাদের মধ্যে কি হয়েছে তা আামি জানিনা। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী শামীম হোসাইন বলেন, আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ভিজিএফ) কার্ড বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে গেলে বিএনপির কর্মীরা আমাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, তুচ্চ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটু বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষ বসে সমাধাণের চেষ্টা করছি। ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিজিডি কার্ড বিতরণে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ । তারা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।