উক্ত শুনানিতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা নির্বাচন কমিশনের খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য দেন। অপরদিকে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অখণ্ড বিজয়নগর উপজেলার পক্ষে বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থক ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আতাউল্লাহর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য নির্বাচন কমিশনার সহ সবার সামনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দুই নির্বাচনীয় এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়েছে।
ঘটনার দিন বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের শাহবাজপুর এলাকায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পক্ষে বিক্ষোভ করে স্থানীয় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা অনুসারী বিএনপির নেতাকর্মীরা। অপরদিকে পরের দিন সোমবার সকাল ১১ টায় বিজয়নগর উপজেলার নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ডাকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের চান্দুরা ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলে যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক মোঃ আতাউল্লাহ,বিজয়নগর উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী সহ শতাধিক নেতাকর্মী।
উক্ত কর্মসূচী থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গ্রেফতার দাবী করা হয়। এছাড়াও এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী করা হয়।
উল্লেখ ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন খসড়া সীমানা প্রকাশ করলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়ন কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) যুক্ত করায় বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ প্রতিবাদ জানান। এই পরিবর্তন চেয়ে হরষপুর ইউনিয়নের হাজীপুর, হাতুরাপাড়া, চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর ও বুধন্তী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কিছু নিন্ম আয়ের মানুষ, প্রতিবন্ধীর পক্ষ থেকে আবেদন করার বিষয়টি প্রকাশ হলে তারা সেই আবেদন করেননি বলে হলফনামা প্রদান করেন এবং নির্বাচন কমিশনে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ আপিল করে।