খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার নদীর ভাঙ্গনে দিন দিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি ও জসলের জমি বর্ষা আসার আগে ভাঙ্গনের ভয়ের আশঙ্কায় ঝুঁকিতে রয়েছে ৩০/৪০ টি ঘরবাড়ির প্রায়ই বসত বাড়ির লোকজন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার জানানোর পরেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এলাকাবাসীর অভিযোগ । ঐতিহ্যবাহী বোয়ালখালী পুরাতন বাজার খালটি মানুষের বসতবাড়ি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া। এই নদীর স্রোতে ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গত কয়েক বছরে আশেপাশের ৩০ হতে ৪০টি পরিবারের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বোয়ালখালী খালের পাশে বসতভিটা সন্তানাদি বাস করা আবুল হাসেম বলেন, আমি জায়গা কিনেছি ১০শতক এখন নদীতে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আমার জায়গা ৪শতকে এসে টেকেছে। নদী গর্ভে বাকি জায়গা টুকু কখন যে বিলিন হয়ে যায় আতংকে আছি ।
খাল পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দা কুস্তুল মুৎসুদ্দি(৬৫) বলেন, নদীতে শুধু বাড়িঘর বসতভিটা ফসলি জমি ভেঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে, এভাবে ভাঙতে থাকলে এক সময় নদীর পাড়ে সবার বাড়িঘর ছাড়া হয়ে নি:স্ব হয়ে যাবো । সরকারের কাছে আমাদের দাবি নদী ভাঙ্গন থেকে আমাদের বাড়িঘর বসভিটা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ দীলু বলেন, বোয়ালখালী নদী ভাঙ্গনে ৩০/৪০ পরিবার বাস করে এবং আশেপাশে ফসলি জমিসহ নদীরগর্ভে কয়েক বছরে বিলীন হয়েছে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে দুই তীরের বসতবাড়ি ঘর ও ফসলি জমি সম্পূর্ন বিলিন হয়ে যাওয়া আশঙ্কায় রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর যাবৎ একাধিক বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে দেখে যায় কিন্তু ব্যয়বহুল খরচ হওয়াতে কোন প্রতিকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন। আপাতত বরাদ্দ নেই, দেখা যাক কি করা যায় বলে চলে যান।
বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, নদী/খাল ভাঙ্গন রোধে ব্যয়বহুল প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এডিবির কাজ করতে থাকে। বোয়াখালী নদী যে ভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বসতিবাড়িঘর ফসলে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। নদী ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠাবো।