আগামী ২৭ শে জানুয়ারী ২০২৫ (সোমবার) তথ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০:০০ ঘটিকায় এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) এর প্রতিনিধিদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মতবিনিময় সভায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, গাজী গোলাম দস্তগীরের ছেলে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, গান বাংলার তাপস, এটিএন বাংলার ড. মাফফুজুর রহমান, শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ কবীর হোসেন, হাসিনার মদদ পুষ্ট বসুন্ধরার আনভীর সোবহান চৌধুরী ও সাফওয়ান সোবহান চৌধুরীরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত মানুষেরা সমালোচনা করছেন। তাদের মতে আমাদের আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলার সময় যতই সন্নিকটে আসছে ততই মনে হচ্ছে আমাদেরকে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের দিকে ঠেলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের আন্দোলনের স্পিরিট ভুলিয়ে দেবার জন্যই নানা কৈশল করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল। কেউ কেউ বলছেন কাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে এই মহলগুলো মরিয়া হচ্ছে তা সরকারকে অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। নাকি ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার রক্তের সাথে মশকরা করা হচ্ছে? গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় হাসিনার দোসরদের আমন্ত্রণ মোটেও গ্রহনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ। তবে উক্ত কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ দাবি করেন, তাদের টেলিভিশনের লাইসেন্স হোল্ডার হিসেবে ডাকা হয়েছে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য শোনার জন্য। শনিবার রাতে এই বিষয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন তিনি লিখেন, ‘২৭ জানুয়ারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সভা সম্পর্কে‘— গত ১৫ বছরে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর প্রায় সবার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদকে সহায়তার অভিযোগ আছে। কিন্তু এসব চ্যানেলের কাউকেই সরকার নিষিদ্ধ করেনি, কিংবা মালিকানায় পরিবর্তন (দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে) ঘটেনি।  তিনি আরও বলেন, টিভি চ্যানেলগুলোকে সংস্কারের অংশ করতে হলে চ্যানেল মালিকদের কাছ থেকে তাদের ভূমিকার ব্যাখ্যা শোনার প্রয়োজন অস্বীকার করা যাবে না। সেকারণেই শুধু লাইসেন্সধারীদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে কয়েকজন হত্যামামলার আসামি হিসাবে জেলেও আছেন জেনেও লাইসেন্সধারী হিসাবে তাদের নামে চিঠি গেছে, যাদের পক্ষে অন্য কেউ প্রতিনিধিত্ব করলেও করতে পারেন। উল্লেখ্য গত ২২ শে জানুয়ারি ২০২৫ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন থেকে সভার নোটিশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, কমিশনের একটি মতবিনিময় সভা আগামী ২৭ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টায়  অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে তথ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।