মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯৩৩ জনে।

আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ২৭ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। বিবৃতিতে বলা হয়, নিহতদের অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম ও কর্মী সংকটের কারণে তাদের জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার কেবল ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন ২৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০০ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় গাজায়। এর পাল্টা জবাবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় অভিযান শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চালানো অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। তবে মাত্র দুই মাস পর, ১৮ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। গত চার মাসে এই দফার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯ হাজার ৪৪০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ। হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মুক্ত করতে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ। গাজার এই সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে।