গত ২৪শে জুলাই গনঅধিকার পরিষদ থেকে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে ৩৬ জন প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমানকে গাজিপুর ২ আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

 ঘোষণা হওয়ার পরপরই দলটির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুর রহমান খান আব্দুর রহমান এর প্রার্থীতার বিরোধিতা করে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তীব্র হট্টগোল শুরু করেন। পরবর্তীতে মাহফুজ এবং তাকে উসকানি দেওয়া আরেক কেন্দ্রীয় নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এ ঘটনায় মাহফুজ খানের সমর্থকরা গত ২ দিনে গাজিপুরে ২ দফা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত গনঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ের সামনে মাহফুজ সহ কয়েকজন সংবাদ সন্মেলনও করেন। তবে শ্রমিকনেতা আব্দুর রহমান এর পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো সংবাদ সন্মেলন বা শোডাউনের খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন "মাহফুজ খান দলের দুঃসময়ের পরিক্ষিত নেতা এবং ১৮ এর কোটা আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতৃত্ব। তবে দল গাজিপুর ২ আসনে আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সবসময় আনুগত্য পোষণ করেছি। তাছাড়া আমি ঐ সংসদীয় আসনের স্থায়ী বাসিন্দা। মাহফুজ ভাইয়ের আসন মূলত গাজিপুর ৫। দল নিশ্চয়ই তাকে সেখানে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় রাখবে বলে মনে করি। আমি প্রতিহিংসার পরিবর্তে  সহাবস্থান এবং নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের জয় নিশ্চিত করার স্বার্থে আমার কর্মী সমর্থকদেরকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার শোডাউন থেকে বিরত থাকতে বলেছি " গাজিপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের থেকে এই আসনের জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে আর্থিক সুবিধা এনে দেওয়ার বিষয়ে মাহফুজুর রহমান খান এর অভিযোগ প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান বলেন "আমরাই আন্দোলন করে জাহাঙ্গীর সহ সারা দেশের লীগের পতন ঘটিয়েছি। সুতরাং এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি প্রতিহিংসার বশত এমন ভিত্তিহীন এবং বেফাঁস কথা বলে থাকতে পারেন। একজন দ্বায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তিনি এমন মিথ্যা তথ্য ছড়াতে পারেন না।"