যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে প্রায়ই সারা দেশে লোডশেডিং হচ্ছে; সেখানে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাদু কর্মকর্তারা আবাসিক দামে টমটম গাড়ির ব্যাটারি গুলো চার্জিং এর সুবিধা দিচ্ছে,আবার অনেকে ঘর  ভাড়া দিয়ে ব্যাটারি চার্জিং এর  বিনিময়ে প্রতিদিন ১০০/১৫০/২০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।একটা ঘরে ৪/৫/৬ টা টমটম গাড়ির ব্যাটারি  চার্জিং দেয়া হয়।এটা ও একটা ব্যাবসায় পরিনত হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের অসাধু অফিসার ও লাইনম্যানরা প্রত্যেক টমটমের ব্যাটারি চার্জিং হিসেবে আলাদা বখারা আদায় করছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়  অধিক দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা আমদানি করছে দেশের সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে। খুব সম্ভবত ভর্তুকি দামে সরকার আবাসিক গ্রাহকদের  বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।কিন্তু, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় ; সরবরাহকৃত বিদ্যুতের বেশিরভাগই টমটম গাড়ির ব্যাটারি চার্জিং এ ব্যবহৃত হচ্ছে।আর এই টমটমগাড়ি গুলো চালাচ্ছে কমবয়সী কিশোরেরা।নেই তাদের টমটম গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন,ট্যাক্স টোকন কিংবা  ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।এক দিকে ব্যাটারি চার্জিং দিচ্ছে আবাসিক দামে যার ফলে প্রতিনিয়ত লোডশেডিং অন্য দিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোররা লাইসেন্স বিহীন টমটম ড্রাইভিং এর ফলে প্রতিনিয়ত  সংঘটিত হচ্ছে নানা  দূর্ঘটনা। 

গোয়াইন ঘাট রাস্তায় গত কয়েক বছরে এই পর্যন্ত দুই/ তিন শত টমটম দূর্ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়ে পংগুত্ব বরণ করছে এবং মারা গেছে ১৫/২০ জন।আজ ১৫/০৬/'২৫ তারিখে গোয়াইঘাট কলেজ থেকে ১ কি: মি পশ্চিমে সতি নামক স্থানের মোড়ে  মোটর সাইকেল - টমটম গাড়ির সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছে।গত দেড়/ দুই মাস পূর্বে ও গোয়াইন ঘাট কলেজের দুইজন ছাত্র একই স্থানে টমটমের সাথে মোটর বাইক দূর্ঘটনায় নিহত হয়।এর পূর্বেও একই মোড়ে আরো অনেক লোক মারা গিয়েছে।এর প্রধান কারণ ব্যাটারি চালিত টমটম গাড়ির অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভারদের খামখেয়ালি ড্রাইভিং। সাধারণ জনগণ  মনে করেন এখনই ব্যাটারি চালিত  টমটম গাড়ির অনুমোদন বন্ধ করা এবং সেই সাথে সকল ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা।আর বর্তমান  চলমান ব্যাটারি চালিত টমটম গাড়িগুলো জব্দ করা। রাস্তার মোড় গুলোর পাশের গাছ ও বাঁশ ঝাড় কেটে পরিষ্কার করা দরকার।তা নাহলে প্রতিদিন আরো দূর্ঘটনা ঘটবে। 

সরকারের উচ্চ মহল তথা নীতিনির্ধারকদের এ ব্যাপারে এখনই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।