ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি ১লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ঘুরতে বেরুতে নিষেধ করায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে পাপড়ি (১৩)। তবে পুলিশের দাবি পাপড়ির মৃত্যু রহস্যজনক। তার গায়ের জামাটি রক্তমাখা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কাটা দাগ পাওয়া গেছে।
নিহত পাপড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের কালীপুর মধ্যমতরফ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রহিমের মেয়ে ও গৌরীপুর নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পরিবারের লোকজন তাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেলওয়েতে কর্মরত পাপড়ির বাবা আব্দুর রহিম জানান, গতকাল থেকেই পাপড়ি জেদ করছিলো ১৪ তারিখ বাইরে ঘুরতে বের হবে। তার মা নিষেধ করায় রাগারাগি করে সে। আজ (শুক্রবার) সকালে তিনি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরেছেন। পাপড়ি মোবাইলে ব্যালেন্স চাইলে তিনি তা পাঠান। জুম্মার নামাজ থেকে ফিরে এসে শুনেন মেয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. লামিয়া ইসলাম জ্যোতি বলেন- পাপড়ির শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত পাওয়া গেছে ও তার গায়ের জামাটি রক্তে ভেজা রয়েছে। আত্মহত্যার বিষয়টি পরিষ্কার নয়, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পাপড়ির আত্মীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুমি জানান- ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় তিনি জানালা দিয়ে দেখেন পাপড়ি সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। তখন তিনি চিৎকার করলে অন্যরা ছুটে এসে শাবল দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম জানান- মেয়েটির জামা ও বিছানার চাদর রক্তাক্ত হয়ে আছে। দরজা জোর করে খোলা বা ভাঙার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি, মৃত্যুটি রহস্যজনক, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলমান রয়েছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মাযহারুল আনোয়ার বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।