বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ততম রোড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন নগরীর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানান ধরণের যানবাহনের চাপ। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে হাজার হাজার যাত্রী, পর্যটক আর পণ্যবাহী যানবাহন। এমন পরিস্থিতিতে মহাসড়কটিকে ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে আজকে রামুতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার সকাল ১০:০০ টা থেকে ১১:৩০ মিনিট পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলার বাইপাস ফুটবল চত্তরে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ- রামু, কক্সবাজারের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

উক্ত মহাসমাবেশ ও মানববন্ধনে রামু উপজেলার অর্ধশতাধিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি রামু সরকারি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনোত্তর সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহাসড়কের অধিকাংশ অংশের প্রশস্ততা মাত্র ১৮ থেকে ৩৪ ফুট। মহাসড়কে বাঁক আর উপসড়ক থেকে হঠাৎ ছোট-বড় গাড়ি উঠে আসায় সৃষ্টি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি , সংঘটিত হচ্ছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তার ওপর ট্রাকভর্তি লবণ পরিবহন হচ্ছে খোলা অবস্থায়, যা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর মত দূর্ঘটনার আশঙ্কা। দ্রুত এই  মহাসড়কটিকে ৬ লেনে উন্নীত না করলে দুর্ঘটনা ও যানজট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

কক্সবাজারে পর্যটনের পাশাপাশি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, টেকনাফ স্থলবন্দর, এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, বিশেষ শিল্পাঞ্চল, লবণ, পান ও সুপারিসহ বিভিন্ন স্থানিয় পণ্য পরিবহনে অর্থনৈতিকভাবেও মহাসড়কটির গুরুত্ব বাড়ছে মন্তব্য করে সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব খাতে উল্লেখযোগ্য অংশ (বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ) কক্সবাজার থেকে যোগান দেওয়া হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। 

মানববন্ধন শেষে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি তুলে দেন উক্ত মানববন্ধনের আয়োজনকারী নেতৃবৃন্দ। 

রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব সোয়েভ সাঈদ এর সঞ্চালনায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মাস্টার মোহাম্মদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম, জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলানা হাফেজ আবদুল হক, রামু ওলামা পরিষদের মৌলানা মোহসেন শরীফ, সামাজিক সংগঠন অগ্রযাত্রার পরিচালক নীলিমা আকতার চৌধুরী, রামু বণিক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন রকি , বাংলাদেশ জামাত ইসলামী ফতেখারকোল ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ সোহরাব হোসেন, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস এর রামু জোন কোঅর্ডিনেটর, গ্লোবাল ইংলিশ লার্নিং সেন্টার ও গ্লোবাল ইউথ লার্নিং সেন্টার'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব মোঃ এস আই. রায়হান সহ আরো কমপক্ষে ৩০ টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।