চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বৌলমনদিয়ার খাতা ( আশ্রয়ন প্রকল্প) ও চর শাখাহাতীতে নদী উপকূল এলাকার মানুষের ঘরবাড়ী ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে

চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বৌলমনদিয়ার খাতা ( আশ্রয়ন প্রকল্প) ও চর শাখাহাতীতে নদী উপকূল এলাকার মানুষের ঘরবাড়ী ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে।   জানা যায়, চিলমারী ইউনিয়নের বৌলমনদিয়ার খাতা (আশ্রয়ন প্রকল্প) (চর শাখাহাতী) ও করাই বরিশাল ইউনিয়নের চর এলাকার মানুষের ঘরবাড়ী ব্যাপক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। প্রতি বছর তারা নদী ভাঙ্গনের সাথে যুদ্ধ করে বসবাস করে আসতেছে। এবার আগাম নদী ভাঙ্গনে প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকা বিলীন হয়ে যাইতেছে। চর এলাকার মানুষদের ঘরবাড়ী, পরিবার পরিজন, গবাদিপশু, হাস মুরগী, আসবাবপত্র নিয়ে অসহায়ত্ব সাথে দিনাতিপাত করতেছে। তাদের কষ্টের সীমা নেই। সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে। প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধের তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করাই বরিশালে নদী ঘাটে  জিও ব্যাগ ফেলে  সাময়িক চেষ্টা চলছে। এটা খুবই সামান্য, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ  চোখে পড়েনি। বৌলমনদিয়ার খাতা (চর শাখাহাতীতে) মানুষের কষ্টের শেষ নেই। ঘরবাড়ি তো নেই, কোনরকমে চালা ঘর করে মানুষ-গবাদি পশু সহ একসঙ্গে বসবাস করতেছে।  স্বাস্থ্য সেবার জন্য সরকারী একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চরের মানুষের স্বাস্থ্য  সেবা নিয়ে অনিশ্চিত।  সরকারী স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ নদীর ভাঙ্গনের মুখে।  কর্তৃপক্ষের দ্রুত  নজর দেওয়া প্রয়োজন ও দাবী জানান চরবাসী   যাতে করে চর এলাকার মানুষদের জীবনমান উন্নয়ন ও নদী ভাঙ্গনের  হাত থেকে রক্ষা পায় ।