সিলেটের জকিগঞ্জ থানা পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ লুণ্ঠিত মালামাল, নগদ অর্থ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই রাতে জকিগঞ্জ থানার বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রাম এলাকার এক বাসায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় তৎপর হয় পুলিশ। ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে জকিগঞ্জ থানার একাধিক টিম তৎপরতা শুরু করে। পরবর্তীতে রবিবার (৩ আগস্ট) ও সোমবার (৪ আগস্ট) সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, ওসমানীনগর, সিলেট মহানগর এলাকা এবং সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর ও বিশ্বম্ভরপুর থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে চারজন ডাকাতকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:

১. ছোয়াবির আহমেদ ওরফে ছব্বির ওরফে সাব্বির (৩৯), পিতা মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা আফিয়া বেগম, সাং ভুরুঙ্গাপুর, পূর্ব তিলাপাড়া, থানা ওসমানীনগর, সিলেট।
২. সোহেল মিয়া (৪২), পিতা মৃত আরজদ্দ উল্লা, মাতা রুপিয়া বেগম, সাং উত্তর কালনিরচর, থানা জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
৩. রুহুল আমিন (২৫), পিতা সুমন মিয়া, মাতা মৃত আছিয়া বেগম, সাং বাঘবের, থানা বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ।
৪. সুমন মিয়া (৩৬), পিতা রফিকুল ইসলাম, মাতা মিনা বেগম, সাং হাজীপুর নোয়াপাড়া, থানা গোলাপগঞ্জ, সিলেট।

অভিযানের সময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে:

ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৬৫৮২ ও ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৪৯৫৪)
নগদ টাকা ১,৩০,০০০/-
নেপালি মুদ্রা ৭,৮৯০ রুপি
৩৪টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ৭টি আইফোন ও ২৬টি বাটন ফোন
৫টি বিদেশি হাতঘড়ি, ৫টি ট্যাব, ২টি ল্যাপটপ, ১টি ভিডিও ক্যামেরা
৫টি শাড়ি, ৪টি ছাতা, ১টি বড় ল্যাগেজ, ৩টি হ্যান্ডব্যাগ
১টি খেলনা পিস্তল, ২টি লোহার সাবল, হাতুড়ি, ২টি সুইস চাকু, ২টি স্ক্রুড্রাইভার, প্লাস
কিবোর্ড, চার্জার, ও বিভিন্ন স্বর্ণের ও গোল্ড প্লেটের অলংকার।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আরও দুইজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মুফিজুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনার জড়িত আরোও ডাকাতদলের সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে। ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ তৎপর রয়েছে।