সম্প্রতি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা প্রশংসনীয়। তবে, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রাপ্তির প্রক্রিয়াতেও এখনও নানা জটিলতা ও হয়রানি রয়ে গেছে, যদিও অনলাইনে আবেদন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণে করণীয়: ১. ডিজিটাল সিস্টেমের উন্নতি: অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন থাকলেও সার্ভার সমস্যার কারণে আবেদনকারীরা বারবার সমস্যায় পড়েন। তাই সার্ভার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটি দ্রুত সমাধান করা জরুরি। ২. ডিজিটাল যাচাই প্রক্রিয়া: আবেদন জমা দেওয়ার পর কাগজপত্র যাচাই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল করা হলে সময় ও হয়রানি কমবে। ৩. ত্বরিত সনদ প্রদান: নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে (যেমন ৩ দিন বা ৭ দিনের মধ্যে) জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ নিশ্চিত করা। ৪. গ্রাম পর্যায়ে সহায়তা কেন্দ্র: ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে দক্ষ জনবল ও পর্যাপ্ত প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রক্রিয়া সহজীকরণে করণীয়: ১. একই প্ল্যাটফর্মে সব সেবা: এনআইডি সংশোধন, পুনর্মুদ্রণ ও আবেদন প্রক্রিয়াকে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালে একত্রিত করতে হবে। ২. ডিজিটাল ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: স্বয়ংক্রিয় ডেটাবেসের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই চালু করা। ৩. সময়ের সীমা নির্ধারণ: এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা (যেমন ৭ দিন) নিশ্চিত করতে হবে। ৪. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: একটি সরকারিভাবে অনুমোদিত মোবাইল অ্যাপ চালু করলে নাগরিকরা সহজেই এনআইডি সংক্রান্ত সেবাগুলো পাবেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আমাদের আবেদন, পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার মতো জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকেও সহজ, দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এতে নাগরিক সেবা আরও স্বচ্ছ ও সহজলভ্য হবে এবং জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
লেখক: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
এলএলবি (অনার্স), প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
প্রেসিডেন্ট, লাইট অব ইয়াসরব-লয়