২৫ মার্চ ২০২৫ বিকাল তিনটায় সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন জাগ্রত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ও অর্থায়নে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে জুলাই গনঅভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় ও ইদ উপহার বিতরন করা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে যার যার বেডে যেয়ে ইদ উপহার দেওয়া হয় ও আহতদের খোঁজ খবর নেওয়া হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লে. জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহিদ ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান ব্রি.জেনারেল জালাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো: খায়ের আহমেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংবাদকর্মী, সম্পাদক ও প্রকাশক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাগ্রত নাগরিক সমাজের সদস্য ও উপদেষ্টা মন্ডলীর মধ্য থেকে আলমগীর হোসেন, এজাজ ওসমান, ব্রি.জে. (অব:) জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জামান এবং এক্সিকিউটিভ কমিটি থেকে ভাইস চেয়ারম্যান  ব্রি.জে. (অব.) নাসিমুল গণি, সাধারন সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান ইমন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক জাহিদ, জনসংযোগ সম্পাদক রিজওয়ানা কবীর উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১১ জনসহ সাপোর্ট স্টাফদের মিলে মোট ১৪০ জনকে ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ১১৬ জন চিকিৎসাধীনসহ ওয়ার্ড বয় ও সাপোর্ট স্টাফ মিলে মোট ১৩০ জনকে ইদ উপহার দেওয়া হয়। সর্বোমোট ২৭০ টি ইদ উপহার প্যাকেজে  ছিলো পোলাও চাল ১ কেজি, মসুরির ডাল ১ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, চিনি ১ কেজি, লাচ্ছা শেমাই ২ প্যাকেট, কিসমিস, গরম মসলা, গুড়া দুধ ও নুডুলস। 

এসময় প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লে. জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ আহতদের উদ্দেশ্যে ব‌লেন, আপনাদের জন্যই আজ আমরা এই চেয়ারে বসতে পেরেছি। আমরা আপনাদের ভুলি নাই। আপনাদের মনে রাখার জন্যই আজ জাগ্রত নাগরিক সমাজ এই আয়োজন করেছে। আপনারা জাতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। আপনাদের জন্য জুলাই শহিদ ফাউন্ডেশন কাজ করছে। আপনাদের আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। 

এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন ব্রি.জেনারেল জালাল, প্রফেসর ড. মো: খায়ের আহমেদ চৌধুরী এবং আহতদের পক্ষ থেকে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এক চোখ হারানো আবীর আহমেদ শরিফ আবেগঘন বক্তৃতা দেন। 

জানাস এর সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই জাগ্রত নাগরিক সমাজের যাত্রা শুরু হয়েছে। এবং ইতিমধ্যে জাগ্রত জুলাই নামে একটি আর্কাইভ করা হয়েছে। যেখানে আন্দোলনে নিহত পরিবার, আহত ও চিকিৎসাধীন ব্যক্তি, সমন্বয়ক, উপদেষ্টাসহ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যক্ষদর্শী সবার অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করা হবে। এবং জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস আজীবন জাগ্রত রাখা হবে।

সূদুর আমেরিকার বোস্টন থেকে জাগ্রত নাগরিক সমাজ(জানাস) এর চেয়ারম্যানের পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জনসংযোগ সম্পাদক রিজওয়ানা কবীর। তিনি আহত ও শহিদদেরকে  উল্লেখ করে বলেন, তারা আকাশের তারা, বিপ্লবের সন্তান, জাতির গর্ব, দ্বিতীয় স্বাধীনতার মুক্তিযোদ্ধা, জাতির বিবেক, আঁধারের কাণ্ডারী, আমাদের দিশারী। 

এবং সবশেষে জানাস এর ভাইস চেয়ারম্যান ব্রি.জে. (অব.) নাসিমুল গণি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করেন।